শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর উপর নবনির্মিত তিনটি সেতু আনুষ্টানিক উদ্বোধন হচ্ছে বৃহস্পতিবার। (২০ আগস্ট) বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই তিনটি সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেতুগুলোর উদ্বোধনী ভিডিও কনফারেন্সকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মন্নান, জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত গণভবনে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
সেতু তিনটি হচ্ছে, সিলেট নগরীর শেখঘাটে সুরমা নদীর ওপর চার লেনবিশিষ্ট ‘কাজীবাজার সেতু’, গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সড়কের কুশিয়ারা নদীর ‘চন্দরপুর সেতু’ এবং সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর ওপর নবনির্মিত ‘সুরমা সেতু’। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তার কার্যালয়ে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উল্লেখিত প্রকল্পগুলো উদ্বোধনে অনুমতি দিয়েছেন।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ২০০৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সিলেট নগরীর শেখঘাট এলাকায় সুরমা নদীর ওপর কাজির বাাজার সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৬ সালের ফেব্র“য়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৮ মাসে (২০০৭-০৮ অর্থবছরে) তা সম্পন্নের কথা থাকলেও সময় লেগেছে ১০ বছর। সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্যে স্টিল আর্চসহ (খুঁটি) বোরড পাইল ফাউন্ডেশনের ওপর প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট গার্ডার সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সেতুর দৈর্ঘ ৩৬৬ মিটার প্রস্ত ১৯ মিটার। তত্ত¡াবাবধায়ক সরকারের সময় কাজ বন্ধ রাখা হয়। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার মতায় আসার পর প্রকল্প সংশোধন করে। ২০১২ সালে পুনরায় সেতুর কাজ শুরু হয়। স্টিলের আর্চ ছাড়াই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৮৯ কোটি টাকা। ঢাকার মেসার্স কামাল অ্যাসোসিয়েটস প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নকশা সংশোধন ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কাজিরবাজার সেতুতে ১০০ ফুট করে চারটি স্টিলের আর্চ নির্মাণের কথা ছিল। এ কাজের অংশ হিসেবে সেতুর পাইলিংয়ে অতিরিক্ত প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু বিপুল এ অর্থ ব্যয়ের পরও আর্চ সংযুক্ত হয়নি। এ ব্যাপারে সওজের কর্মকর্তারা জানান, ডিজাইন অনুযায়ী ৭০০ টনের আর্চ লাগানোর কথা। কিন্তু এখন ৯০০ টন ওজনের আর্চ লাগাতে হবে। সেতুর ওজন বেড়ে যাবে বলে তা লাগানো হয়নি।
এদিকে, ২০০০ সালে চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে সুনামগঞ্জ শহরের মলিকপুর এলাকায় ‘সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এর প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয় ২৩ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর নতুনভাবে ৪০২ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুর ব্যয় ধরা হয় ৬৭ কোটি টাকা।